যে কারণে নূরের বান্ধবী নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি

ডেস্ক রিপোর্ট – নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বান্ধবী নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে একটি হত্যা মামলায় আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)।

২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আজিবপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর জানতে পারে লাশটি নোয়াখালী জেলার মাসুমপুর গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে খায়রুল ইসলাম জুয়েলের (৩০)।

আদালত সূত্র জানায়, জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনজন কিলার লঞ্চো সোহেল, কালা সোহাগ ও মনা ডাকাত দোষ স্বীকার করে আদালতে পৃথক সময় জবানবন্দিতে বলেছিলেন- মাদক ব্যবসার দেনা পাওনা নিয়ে নীলার সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ দেখা দেয়। এতে নীলার নির্দেশে খায়রুল ইসলাম জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে দেহ এক স্থানে ও মাথা আরেক স্থানে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করলেও নীলাসহ ১৭ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী। আদালত মনে করেছেন এ চার্জশিটটি স্পষ্ট নয় এবং দাখিলকৃত চার্জশিট সন্তোষজনক বলে প্রতীয়মান হয় না। এছাড়াও আসামিদের জবানবন্দি ন্যায় বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হওয়ায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

এরপর জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

এর প্রেক্ষিতে রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছরোয়ার জাহান সরকার।

উল্লেখ্য, এ মামলায় নীলা জামিনে রয়েছেন।